১১ মে ২০২৪, ২৮ বৈশাখ ১৪৩১, ০২ জিলকদ ১৪৪৫
`


বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় প্রথম অধ্যায় : আমাদের মুক্তিযুদ্ধ

-

সুপ্রিয় পঞ্চম শ্রেণীর শিক্ষার্থী বন্ধুরা, শুভেচ্ছা নিয়ো। আজ তোমাদের বাংলাদেশ ও বিশ্বপরিচয় বিষয়ের ‘প্রথম অধ্যায় : আমাদের মুক্তিযুদ্ধ’ থেকে ৩টি যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে আলোচনা করব।
যোগ্যতাভিত্তিক প্রশ্ন ও উত্তর
প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য কী?
উত্তর : ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ আমাদের জাতীয় ইতিহাসে অত্যন্ত গৌরবময় ঘটনা। পাকিস্তানি শোষণ থেকে চূড়ান্ত মুক্তির লক্ষ্যে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শুরু হয় এই মুক্তিযুদ্ধ। নয় মাস যুদ্ধ এবং বহু ত্যাগের বিনিময়ে অর্জিত হয় চূড়ান্ত বিজয় ও স্বাধীনতা। এ যুদ্ধের ফলে বিশ্বের মানচিত্রে স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশের অভ্যুদয় হয়। আমরা একটি স্বাধীন দেশের নাগরিক হিসেবে পৃথিবীর বুকে পরিচিতি লাভ করেছি। আমরা পেয়েছি নিজস্ব একটি ভূখণ্ড ও একটি পতাকা। তাই বাংলাদেশের জন্য মুক্তিযুদ্ধের তাৎপর্য অপরিসীম।
প্রশ্ন : মুক্তিযুদ্ধে সাধারণ মানুষ কিভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন?
উত্তর : সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে যেভাবে অংশ নিয়েছিলেন তা নি¤েœ দেয়া হলোÑ
১. সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে মিছিল, মিটিং ও গণসমাবেশে অংশগ্রহণ করেন।
২. মুক্তিযোদ্ধাদের আশ্রয় দিতেন, খাবার দিতেন।
৩. জীবনের ঝুঁকি নিয়ে অস্ত্র লুকিয়ে রাখতেন।
৪. অসুস্থ মুক্তিযোদ্ধাদের সেবা করতেন।
৫. প্রত্যক্ষ যুদ্ধে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সাধারণ মানুষ মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
প্রশ্ন : মুক্তিবাহিনী কিভাবে সংগঠিত হয়েছিল, সে সম্পর্কে অনুচ্ছেদ লিখ।
উত্তর : ১৯৭১ সালের ১০ এপ্রিল মুজিবনগর সরকার গঠনের পর মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার জন্য সামরিক বেসামরিক জনগণকে নিয়ে মুক্তিবাহিনী গড়ে তোলার উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়। সরকার বাংলাদেশকে ১১টি সেক্টরে বিভক্ত করে। এ ছাড়া বেশ কিছু সাব-সেক্টর এবং তিনটি ব্রিগেড ফোর্স গঠন করা হয়। এসব বাহিনীতে বাঙালি সেনা, কর্মকর্তা, সেনাসদস্য, পুলিশ, ইপিআর, নৌবাহিনী ও বিমানবাহিনীর সদস্যরা যোগদান করেন। প্রতিটি সেক্টরে ছিল নিয়মিত সেনা, গেরিলা ও সাধারণ যোদ্ধা। তারা মুক্তিযোদ্ধা বা মুক্তিফৌজ নামে পরিচিত ছিল। এসব বাহিনীতে দেশের ছাত্র, যুবক, নারী, কৃষক, শ্রমিকসহ বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষ অংশ নিয়েছিল।


আরো সংবাদ



premium cement

সকল